দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলনা ও প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)’র টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা
দেড় বছর ধরে অচল রয়েছে। ই-মেইল হোয়াটসঅ্যাপ এবং মোবাইলের মাধ্যমে চলছে যোগাযোগের সকল কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১১ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার আগেই টেলি যোগাযোগ সচলের দাবি জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কুয়েট সংযোগ সড়কের আধুনিকায়নের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সিআরডিবি প্রজেক্ট-২ ‘র ২য় নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ফুলবাড়িগেট থেকে গভঃ ল্যাবরেটরী হাইস্কুল পর্যন্ত ১১৮৫ মিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়, যা এখনও চলছে।
প্রকল্পের কাজের শুরুতে সড়কের পাশের ড্রেন নির্মাণের কাজ করার সময় কুয়েটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মেইন ক্যাবল কেটে যাওয়ায় কুয়েটসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার টেলিযোগাযোগ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে । জোড়াতালি দিয়ে পুনরায় লাইন সচল করা হলেও ৬ মাস পর ড্রেন নির্মাণের কাজ চলাকালীন ক্যাবল কাটা পড়ে আবারও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেই থেকে গত দেড় বছর বিশ্ববিদ্যালয়সহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকা সমূহের টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে যায়। ।গত দেড় বছরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিটিসিএল, কুয়েট সংযোগ সড়ক আধুনিকায়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা খুলনা সিটি কর্পোরেশন এবং কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স প্রাইভেট লিঃ কে একাধিকবার তাগিদ দিয়েও লাইন সচল করা সম্ভব হয়নি।
কুয়েটের প্রধান প্রকৌশলী এ,বি, এম মামুনুর রশিদ খুলনা গেজেটকে বলেন, কুয়েট সংযোগ সড়কের ড্রেনের কাজ করতে যেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদার্স প্রাইভেট লিঃ টেলিফোনের যে ক্যবলগুলো আছে এগুলো কেটে ফেলে। ক্যাবল ক্রয় এবং মেরামতের জন্য বিটিসিএল থেকে একটা এস্টিমেট তৈরি করে সিটি কর্পোরেশনকে দিয়েছে। কত টাকা লাগতে পারে সেটাও অ্যাপ্রুভাল করে সিটি কর্পোরেশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখনও সেই টাকাটা দেয়নি। টাকাটা দিলে বিটিসিএল ক্যাবল কিনে তারপর তারা লাইন পুনঃস্থাপনের কাজ করবে।
তিনি বলেন, লাইন বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে সকল টেলিযোগাযোগ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ই-মেইল whatsapp এবং মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ সচল রাখা হয়েছে। টেলি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্স বাইরে থেকে রিসিভ করা যাচ্ছে না এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও কোন ফ্যাক্স বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না। এটার দ্রুত একটা সমাধান করা দরকার।
বিটিসিএল খুলনার উপ-মহা ব্যবস্থাপক মোঃ বেঞ্জুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ৭/৮ বার সিটি কর্পোরেশন এবং কুয়েট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি। যৌথভাবে সার্ভে করেছি। বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে উত্থাপন করেছি। লাইন সংযোগ দিতে গেলে অল্প টাকার ব্যাপার নয়। ১৫ লক্ষ টাকার মতো প্রয়োজন। ক্ষতিপূরণের টাকা দিবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। টাকা পেলে আমরা অনেক আগেই লাইন মেলামত করে সংযোগ দিতে পারতাম।
সড়কের আধুনিকায়ন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার (পিএম) প্রকৌশলী রবিউল হোসেন বিদ্যুৎ বলেন, কুয়েটসহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় টেলিফোন লাইন সচল করার জন্য সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক অ্যাপ্রুভালকৃত অর্থ আমরা ২/১ দিনের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করব।
খুলনা গেজেট/এইচ